‘মাইক্রোসফট অফিস ২০১৩’ হলো মাইক্রোসফট উইন্ডোজের একটি প্রোডাক্টিভিটি স্যুট এবং ‘মাইক্রোসফট অফিস ২০১০’ এর উন্নততর সংস্করণ। এতে বর্ধিত ফাইল ফরমেটের সমর্থন, উন্নত উইজার ইন্টারফেস এবং টাচ এর সাপোর্ট যুক্ত করা হয়েছে যা ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করবে। এর ৩২ বিট সংস্করণটি উইন্ডোজ সেভেন, উইন্ডোজ সার্ভার ২০০৮ আর২ বা এর পরবর্তী অপারেটিং সিস্টেমে চলে। এর ৬৪ বিটের সংস্করণও রয়েছে। এছাড়া উইন্ডোজ আরটি ডিভাইসগুলোতেও উইন্ডোজ ২০১৩ এর একটি সংস্করণ রয়েছে।
অফিস ২০১৩ তার আগের ভার্সনগুলোর চাইতে অনেক বেশি ‘ক্লাউড-ভিত্তিক’। এর ডিফল্ট সেভ লোকেশন হলো ব্যবহারকারীর স্কাইড্রাইভ যা নজরে পড়ার মতো। এছাড়াও মাইক্রোসফট তার অফিস ২০১৩ ভার্সনটিকে ‘অফিস ৩৬৫’ সাবস্ক্রিপশনের মাধ্যমেও বাজারে এনেছে যা স্ট্যান্ডার্ড রিটেইল ভার্সনগুলোর একটি বিকল্প প্রাইসিং মডেল।
মাইক্রোসফট অফিস ২০১৩ এর অন্যান্য ফিচারগুলোর মধ্যে রয়েছেঃ
- আগের চাইতে আরো সুন্দররূপে উপস্থাপিত রিবন ইন্টারফেস এবং টাইপ ও সিলেক্ট করার সময় (ওয়ার্ড ও এক্সেল) সূক্ষ্ম অ্যানিমেশন
- মাইক্রোসফট আউটলুকে শিডিউলড টাস্কসমূহের জন্য একটি নতুন ভিজ্যুয়ালাইজেশন
- পূর্ণমডেলকৃত স্টার্ট স্ক্রিন
- ওয়ার্ডের ভেতর নতুন গ্রাফিক্যাল অপশনসমূহ
- ইমেজের মতো অবজেক্টসমূহকে মুক্তভাবে সরানো যায়; এগুলো বাউন্ডারিগুলোতে স্ন্যাপ হয় যেমন- প্রারাগ্রাফের প্রান্তসমূহ, ডকুমেন্ট মার্জিন এবং কলাম মার্জিনগুলোতে
- Office.com, Bing.com এবং Flick হতে কনটেন্টসহ অনলাইন পিকচার সাপোর্ট (বাই ডিফল্ট, পাবলিক ডোমেইনে কেবল ইমেজসমূহ)
- ওয়ার্ড এবং পাওয়ারপয়েন্টে সর্বশেষ দেখা বা সম্পাদন করা লোকেশনে প্রত্যাবর্তনের ক্ষমতা
- পাওয়ারপয়েন্ট ২০১৩ তে নতুন স্লাইড ডিজাইন, অ্যানিমেশন ও ট্রানজিশনসমূহ
- আউটলুকে Outlook.com ও Hotmail.com এর সমর্থন
- Skype ও Yammer সমর্থন
- এক্সেল ২০১৩ নতুন লিমিট মডেলসমূহকে সাপোর্ট করে
আর এসব বিষয়গুলো নিয়ে অত্যন্ত সহজবোধ্য ও হাতে কলমে শেখানোর মতো করে বইটি রচিত হয়েছে।
Reviews
There are no reviews yet.