ভূমিকা
ধন্যবাদ, আপনাদের সবাইকে আমাকে অভূতপূর্ব সাড়া দেয়ার জন্য।
আসলে একটা বইয়ের সার্থকতা নির্ধারিত হয় এর পাঠকপ্রিয়তার মাধ্যমে। আপনারা যদি বইটা না কিনতেন, তাহলে আমার বইয়ের ২য় সংস্করণ কখনোই বের করতে পারতাম না। একটা বই প্রকাশ করতে কতটা ঝক্কি-ঝামেলা পোহাতে হয় সেটা লেখক-প্রকাশক মাত্রই জানেন। আর আমি, রাফি ভাই বা সুবিন ভাই কেউই ফুলটাইম লেখক বা প্রকাশক নই। আমরা আমাদের অবসর সময়টা এগুলোর পেছনে ব্যয় করি শুধুমাত্র আমাদের কমিউনিটির প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে। আপনারা যখন ফেসবুকে, ইমেইলে বা কোথাও দেখা হলে আপনাদের ভালোলাগার কথা আমাদেরকে জানান, তখন মনে হয় আমরা স্বার্থক।
আপনারা আমাকে যেভাবে ফিডব্যাক দিয়েছেন, সেটার কারনেই আজকে দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশ করতে পারছি। এই সংস্করণে আগের সংস্করণের কিছু ভুল, বানানের ত্রুটি ঠিক করা হয়েছে। এছাড়া এটিকে লারাভেল ৫.২ ও ৫.৩ এর উপযুক্ত করে তোলা হয়েছে। আপনারা আমাকে নানাভাবে জানিয়েছেন যেন আমি বইয়ের শেষে একটি প্রজেক্ট যুক্ত করি। এবারের সংস্করণে সেটি যুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া এই প্রজেক্টের সোর্সকোডও গিটহাবে তোলা আছে, সেখান থেকেও দেখে নিতে পারেন। বইয়ের কলেবর ছোট রাখার জন্য একটি মাত্র প্রজেক্ট যুক্ত করা হয়েছে বইয়ে, তবে আমার গিটহাব প্রোফাইলে একাধিক পূর্ণাঙ্গ প্রজেক্ট আছে। আপনারা সেগুলো দেখতে পারেন, এবং যে কোন মতামত জানাতে পারেন।
এই সংস্করণের জন্য সবচেয়ে বেশি ধন্যবাদ প্রাপ্য মোঃ নুরুল ইসলাম শিহান ভাইয়ের। উনি আমার বড় ভাই তুল্য, আমাকে সব সময় নানাভাবে পরামর্শ দিয়েছেন। আমি উনার কাছে কৃতজ্ঞ। আমার বন্ধু-বান্ধব, সহকর্মী, শুভাকাঙ্খী সহ যারা আমাকে সব সময় বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে, মতামত জানিয়েছেন সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
প্রথম সংস্করনের ভূমিকা
প্রায়শই আমাকে একটা কথা শুনতে হয়, ভাই, পিএইচপি তো শিখেছি, কিন্তু এইচটিএমএল ট্যাগের ভেতর পিএইচপি কোড লিখতে ভালো লাগে না। অথবা, ভাইয়া পিএইচপির কোন ফ্রেমওয়ার্ক শিখলে ভাল হবে? এ ধরনের উত্তরে আমি এখন লারাভেল ফ্রেমওয়ার্ক শেখার পরামর্শ দেই। প্রশ্ন হচ্ছে কেন লারাভেল? এর উত্তরে অনেক কথাই বলা যায়, তবে এক কথায় বলতে গেলে লারাভেল পিএইচপির কাটিং এজ টেকনিকগুলি ব্যবহার করে। এছাড়াও অনেক আরো অনেক উল্লেখযোগ্য ফিচার রয়েছে যা অন্য পিএইচপি ফ্রেমওয়ার্কগুলোতে নেই। যদিও এই কথা সিমফোনির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য, কিন্তু আমি নিজে ব্যক্তিগতভাবে লারাভেল খুব পছন্দ করি। এবার কথা হচ্ছে কেন লারাভেলের উপর বই লেখার সিদ্ধান্ত নিলাম। প্রায়ই শুনতে হয় নেটে লারাভেলের ভালো কোন বাংলা টিউটোরিয়াল বা রিসোর্স নাই। যা আছে সবই ইংরেজিতে। এছাড়া কমিউনিটি থেকে সারাজীবন বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতা নিয়েই গেলাম, কিন্তু উল্লেখ করার মত কিছুই দিতে পারি নি। তাই এ দায়বন্ধতা থেকেই লারাভেলের উপর বই লিখতে উৎসাহিত হয়েছি।
আমি লারাভেল ফ্রেমওয়ার্কে কাজ করি খুব বেশি দিন হয় নি। লারাভেলের বয়সও খুব বেশি না, মাত্র বছর চারেক। আমার সাথে লারাভেলের পরিচয় বছর দুয়েক হলো, আর বছর খানেক ধরে প্রফেশনাল কাজে লারাভেল ব্যবহার করছি। আমি লারাভেল শেখা শুরু করেছি লারাভেল ৪.০ থেকে। এরপর ৪.১, ৪.২ দেখলাম। যদিও প্রফেশনালি লারাভেল ৪.২ দিয়েই শুরু করেছি। এরপরই এলো লারাভেল ৫.০, এই ভার্সনে কিছু উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে যেমন নতুন সিম্ফোনীর মত ডিরেক্টরি স্ট্রাকচার, নতুন ফরম ভ্যালিডেশন, ফিল্টারিংয়ের পরিবর্তে মিডলওয়্যার ইত্যাদি। এছাড়াও আমি যদি ভুল করে না থাকি তাহলে লারাভেল ৫.০ ই হল প্রথম পিএইচপি ফ্রেমওয়ার্ক যেটা ১০০ ভাগ psr-4 কম্পিটেবল। তাই শুরু যখন করবো নতুনটা দিয়ে করাই ভালো মনে হলো আমার কাছে।
আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই টেইলর অটোয়েলকে চমৎকার এই ফ্রেমওয়ার্কটিকে উপহার দেয়ার জন্য। এছাড়া আমি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই জেফরি ওয়ের প্রতি, উনি আমাকে লারাভেল ভালোবাসতে যথেষ্ট সাহায্য করেছেন। বইয়ের রিভিউয়ার তামিম শাহরিয়ার সুবিন এবং প্রকাশক তাহমিদ উল ইসলাম রাফি ভাইয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা। এছাড়া আমি কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক এনামুল হক স্যারকে। উনি আমাকে প্রোগ্রামিং ভালোবাসতে শিখিয়েছেন। আমি আমার বন্ধু-বান্ধব, কলিগ এবং শুভাকাঙ্খীদেরকেও ধন্যবাদ জানাতে চাই। এছাড়া আমাকে যারা ভালোবাসেন এবং যারা বাসেন না সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই।
Reviews
There are no reviews yet.